,

চাকরির প্রলোভন দিয়ে : মাদক ব্যবসায়ী সহ ৩ লম্পট গ্রেফতার :: কাওসারকে খুজঁছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার : শহরের ২নং পুল নাসির উদ্দিন একাডেমী সংলগ্ন একটি গোডাউনে চাকরির প্রলোভন দিয়ে নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। তবে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ ও র‌্যাব অভিযুক্ত ৩ লম্পটকে গ্রেফতার করেছে। মূলহোতা ও প্রধান আসামি থানার রাইটার কাওসার আহমেদ ও তার সহযোগিকে খুঁজছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে চুনারুঘাট উপজেলার উসমানপুর গ্রামের ঘটক আব্দুস সালামের স্ত্রী বাদি হয়ে শহরের মোহনপুর এলাকার তৈয়ব আলীর পুত্র থানার রাইটার কাওসার মিয়া (৩২), বহুলা গ্রামের কালু মিয়ার পুত্র মাদক ব্যবসায়ী রাজা মিয়া (৩০), আবু মিয়ার পুত্র বাচ্চু মিয়া (৪০), উমেদনগর গ্রামের আব্দুল মতিনের পুত্র আফজল মিয়া (২৫), রিচি গ্রামের হায়দার আলীর পুত্র সারিন মিয়া (২৮) কে আসামি করে এ মামলা করেন। রাতে ওসি গোলাম মর্তুজার নির্দেশে সদর থানার এসআই মমিনুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে উমেদনগর থেকে আফজলকে আটক করেন। অন্যদিকে র‌্যাব-৯ রাজা ও বাচ্চুকে আটক করেন। পুলিশ জানায় তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ২৫ আগষ্ট রাত ৯টার দিকে অলিপুর প্রাণ কোম্পানীতে চাকরি দেয়ার কথা বলে কাওসারসহ উল্লেখিতরা নাসির উদ্দিন একাডেমী সংলগ্ন একটি গোডাউনে ওই নারীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে ব্লেকমেইল করে ছেড়ে দেয়। সে মোহনপুরে এক আত্মীয়ের বাসায় উঠে এবং স্বামীকে খবর দেয়। শুক্রবার ২৬ আগষ্ট সকাল ৯টায় ওই নারী সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। এ নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনের নজরে আসে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাফরোজা আক্তার শিমুল, ওসি গোলাম মর্তুজাসহ একদল পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ভিকটিমের জবানবন্দি নেন এবং মামলা দিতে বলেন।
ওসি জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই মামলা রুজু হয়েছে। আফজলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং অন্য দুইজনকে র‌্যাব আটক করেছে। এখনও আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। অন্যদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর